জেলা, ক্লাব বা রাজ্যস্তরে ক্রিকেটারদের বয়েস ভাড়াতে হামেশাই দেখা যায়। বিশেষ করে বয়েস ভিত্তিক টুর্নামেন্টে হামেশি দেখা যায় বেশি বয়েসী ক্রিকেটারদের বয়েস ভাড়িয়ে খেলতে দেখার ঘটনা। কিছুদিন আগেও সিএবি রাজ্যের বেশ কিছু ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে বয়স ভাড়ানোর জন্য অভিযোগ তুলে শাস্তি দিয়েছিল। এমনকী এ বছর বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় অনুর্ধ্ব ১৯ দলের ক্রিকেটার মনজ্যোত কালরার বিরুদ্ধেও উঠেছিল বয়স ভাড়ানোর অভিযোগ। আর এই বয়েস ভাড়ানো আটকাতে এবার ভোপালে ক্রিকেটারদের আধারকার্ড বাধ্যতামূলক করা হল। মঙ্গলবারই ভোপালে শুরু হল অনুর্ধ্ব ১৫ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। ভোপালের মোট দশটি সেরা দল ম্যান্ডিদীপে অংশগ্রহন করছে এই প্রতিযোগিতায়। আর এই প্রতিযোগিতায় বয়স ভাড়ানো রুখতেই এই প্রতিযোগতার আয়োজক নেটলিঙ্ক দিলীপ বিন্ডকন এর তরফে নেওয়া হল এই অভিনব পরিকল্পনা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ওই আয়োজকদের তরফে বলা হয়েছে যে প্রতিটি ক্রিকেট ভেনুতেই তারা রাখছেন বায়োমেট্রিক মেশিন।
ক্রিকেটারদের সেখানে জমা দিতে হবে আধার কার্ড। তবে শুধু আধারকার্ডের ব্যবস্থা রেখেই নিশ্চিত হচ্ছেন না আয়োজকরা। পাশাপাশি রেখেছেন বোন টেস্টের ব্যবস্থাও। ওই আয়োজকদের মুখপাত্র অরুনেশ্বর শিন্ডে জানিয়েছেন, “বোন টেস্টেরও ব্যবস্থা থাকছে আধার কার্ডের পাশাপাশি। প্রতিযোগিতা চলার মধ্যেই যদি কোনও ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বয়েস ভাঁড়ানোর তাহলে তৎক্ষণাৎ হাড় পরীক্ষা করে দেখব আমরা”। তবে ভোপালের পাশাপাশি ভারতের কোনও ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বয়স ভাঁড়ানো রুখতে আধার কার্ডের ব্যবহার এই প্রথম। এখন দেখার এই পদক্ষেপে বিসিসিআইয়ের কি প্রতিক্রিয়া হয়। বিসিসিআইও তাদের ঘরোয়া বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বয়েসের কারচুপি রুখতে এমন পদক্ষেপ নেয় কি না এখনও সেটাই দেখার।