এবারের আইপিলে নিলামে প্রথম দিকে খানিকটা বেসামাল হলেও শেষ পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের দল ভালোভাবেই গুছিয়ে নিতে পেরেছে। ব্যাটিং বোলিংয়েও যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে তাদের দলে। ব্যাটিংয়ে যেমন রয়েছেন অস্ট্রেলীয় তারকা ক্রিস লিন, তেমনি রয়েছেন রবিন উথাপ্পা, দীনেশ কার্তিকদের মত অভিজ্ঞ তারকা। অন্যদিকে বোলিং লাইনআপের ক্ষেত্রে যথেষ্টই শক্তিশালী দেখাচ্ছে কেকেআরকে। বোলিং বিভাগে একদিকে যেমন রয়েছেন মিচেল জনসন, বিনয় কুমার, মিচেল স্টার্কের মত পোড় খাওয়া জোরে বোলার, তেমনি অন্যদিকে রয়েছেন কুলদীপ যাদব, সুনীল নারিন, পীযূষ চাওলার মত তারকা স্পিনার। এছাড়াও রয়েছেন কমলেশ নগরকোটি, শিবম মাভির মত উদীয়মান নতুন পেসাররাও যারা দলের হয়ে নিজেদের উপযোগীতা প্রমান করতে মরিয়া। অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে আইপিএলে এবার অন্যতম সেরা শক্তিশালী বোলিং লাইন আপন নিয়ে নিজেদের অভিযান শুরু করবে কেকেআর।
এমনটাই ধারণা অভিজ্ঞ জোরে বোলার বিনয় কুমারের। অন্যদিকে মিচেল জনসন এবং স্টার্কদের মত বিশ্বসেরা বোলারদের পাশে বল করার সুযোগ পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট রোমাঞ্চিত ভারতীয় অনুর্ধ্ব ১৯ দলের তরুণ জোরে বোলার শিবম মাভি। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, “ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব আইপিএলে মাঠের নামার সুযোগ পেলে। সেই সঙ্গে জনসন এবং স্টার্কের মত আন্তর্জাতিক তারকা জোরে বোলারদের কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখতে চাই”। অন্যদিক অভিজ্ঞ জোরে বোলার বিনয় কুমারেরও কোনও সমস্যা নেই দলের তরুণদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে। তিনি জানিয়েছেন, “দলের একজন সিনিয়র হিসেবেই তরুণদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা আমি ভাগ করে নেব।। এখন থেকেই ওদের সঠিক মানসিকতাটা তৈরি হওয়া দরকার। কিন্তু তা বলে এখনই ওদের উপর বেশি মানসিক চাপ দেওয়ার দরকার নেই।
সবার আগে বেড়ে ওঠার জন্য ওদের একটা জায়গা দিতে হবে”। কর্ণাটক রঞ্জি দলের অধিনায়ক বিনয় কুমার আরও জানান, “ এবারে আমাদের দুর্দান্ত বোলিং লাইনআপ রয়েছে। এটাই আইপিএলের অন্যতম সেরা বোলিং লাইনআপ। একদিকে যেমন মিচেল স্টার্ক এবং জনসন রয়েছে, তেমনি সুনীল নারিনও ভাল। সেই সঙ্গে আমিও চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার। এই রকম একটা অসাধারণ বোলিং লাইনআপে আমার থাকতে পারাটাই একটা দারুণ অভিজ্ঞতা”। চার বছর আগে ২০১৪ আইপিএল খেতাব জয়ী নাইট দলের সদস্য ছিলেন বিনয়। এবছর ফের নিজের পুরোনো দলে ফিরতে পেরে ভীষণ খুশি তিনি। তার উপর নিজের রাজ্য দলের আর এক সতীর্থ এবারে কেকেআরের অধিনায়ক হওয়ায় অনেকটাই বেশি চাপ মুক্ত এই জোরে বোলার।