দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে নিজের প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখলেন গৌতম গম্ভীর দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরির দৌলতে, যা তার দলকে সাহায্য করল মোহালিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত স্কোর ১৬৬/৭ করতে। নিয়মিত অন্তরালে এক প্রান্ত থেকে উইকেট পড়তে থাকলেও, অন্যদিক থেকে ধরে রেখে গৌতম গম্ভীর দলের ভিত গড়ে দিয়ে দলকে ভালো স্কোরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। আগে ব্যাট করতে পাঠানোয় দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের শুরুটা ভীষণই খারাপ হয় এবং তাদের ওপেনার কলিন মুনরো দ্রুত ফিরে যান সাজঘরে। আফগানিস্থানের টিনএজার বোলার মুজিব-উর রহমানের কাছে হার মেনে তৃতীয় ওভারেই মাত্র চার রান করে আউট হন মুনরো। তারপরই দলকে সামাল দেন গৌতম গম্ভীর এবং শ্রেয়স আইয়ার জুটি। ঠিক যে সময় মনে হচ্ছিল এই জুটি বড় রানের দিকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ই সোনা ফলান অক্ষয় প্যাটেল।
এই লেফট আর্ম স্পিনার শ্রেয়স আইয়ারকে ব্যক্তিগত ১১ রান এবং দলের ৪২ রানের মাথায় তুলে নেন। দিল্লি ফের বিপদে পড়ে যায় যখন বিজয় শঙ্করও ব্যর্থ হন এবং দিল্লির রান ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৭৭ রানে দাঁড়ায়। কিন্তু পাঞ্জাব এই ম্যাচ নিজেদের মুঠোয় আনার আগেই ঋষভ পন্থ দিল্লির ইনিংসকে প্রয়োজনীয় রান যুগিয়ে যান। মুজিবের বলে আউট হওয়ার আগে এই তরুণ তারকা মাত্র ১২ বলে ২৮ রানের ধুন্ধুমার ইনিংস খেলে যান। এর মধ্যেই নিজের ৫০ রানে পৌঁছে যান গম্ভীর। যদিও এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নিজের রানকে বড় রানে বদলাতে পারেনি এবং ব্যক্তিগত ৫৫ রানেই মাথায় রান আউট হয়ে ফিরে যান। তারপরেই ক্রিস মরিস এবং ড্যান ক্রিশ্চিয়ান অপরাজিত পার্টনারশিপ খেলে দিল্লিকে ভালো স্কোরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। এই দুজনেই বেশ কিছু বড় শট খেলেন এবং তাদের ইনিংসকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। এরপরই গম্ভীরের প্রসংশায় টুইটার উপচে পড়ে।