আইপিএল চলাকালীন চার হোক বা ছক্কা কিংবা আউট, সবেতেই নাচতে দেখা যায় চিয়ারলিডারদের। কোনও দলের ব্যাটসম্যানরা চার বা ছক্কা মারলে, কিংবা বোলার উইকেট নিলেন সুন্দরী এই কন্যারা মাঠেই ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিতে নাচতে শুরু করেন। তার মানে কিন্তু এই নয় যে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্ক রয়েছে এই চিয়ারলিডারদের। ক্রিকেটার এবং চিয়ারলিডাররা মোটেই একে অপরের পরিচিত নন। পরিচিত হওয়ার উপায়ও বন্ধ। আগে এই সমস্ত চিয়ারলিডারদের সঙ্গে কোনও নৈশ পার্টিতে দেখা সাক্ষাৎ হত, এমনকী কখনও কখনও সেই দেখা সাক্ষাতের বিষয়টা গড়াত বহুদূর পর্যন্ত। কিন্তু এখন বিসিসিআইয়ের তরফে আইপিএলের এই ধরনের নৈশ পার্টির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকী এই চিয়ারলিডারদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের উপরেও নিষেধাজ্ঞার ফরমান জারি করা হয়েছে বোর্ডের তরফে। কারণ প্রথমবারের আইপিএলে এই চিয়ারলিডারদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের ব্যাপারটা পৌঁছেছিল বিতর্কের চরম মাত্রায়।
কারণ ২০০৮ এর আইপিএলের একটি নৈশ পার্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার এক চিয়ারলিডারের সঙ্গে মোলাকাত হয়েছিল গ্রেম স্মিথের। ওই চিয়ারলিডার পরে বড়োসড়ো অভিযোগ এনেছিলেন ওই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। তারপরই আইপিএলের মাঝপথেই বাধ্য হয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওই চিয়ারলিডারকে। এরপরই সতর্ক হয়ে পড়ে ভারতীয় বোর্ড। এর আগে একই হোটেলে একই সঙ্গে প্রায়শই দেখা যেত ক্রিকেটার এবং চিয়ারলিডারদের। এসব কিছুই সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্ধ করেছে বিসিসিআই। কারণ স্পট ফিক্সিং। আইপিএলে ২০১৩য় ঘটেছে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা। আর যারা এই স্পট ফিক্সিংয়ের মাস্টার মাইন্ড তাদের লক্ষ্য হত এই সমস্ত নৈশ পার্টি।
এই সমস্ত নৈশ পার্টির মাধ্যমেই তারা পৌঁছনোর চেষ্টা করতেন ক্রিকেটারদের কাছে। আর ওই পার্টিতেই চিয়ারলিডারদের টোপ করে পাঠানো হত ক্রিকেটারদের কাছে। তাদের মাধ্যেমি ফিক্সাররা প্রস্তাব পাঠাতেন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের কাছে। ফলে কড়া নির্দেশ জারি করে সেসব বন্ধ করতে চিয়ারলিডারদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ঘনিষ্ঠতা কমাতে তাদের মধ্যে সাক্ষাতের ব্যাপার নিষিদ্ধ করেছে বিসিসিআই।