শুধু ধোনি কেন, বাকিদেরকেও একই কথা শোনানো উচিত! 1

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ও টি-২০ ক্রিকেট সিরিজের দল ঘোষণার পর দেখা যায়, দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের মধ্য়ে দু’জনকে নিয়ে কোনও ভাবনা-চিন্তাই করেননি নির্বাচকরা। একজন যুবরাজ সিং ও অপরজন সুরেশ রায়না। ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য় দল গড়া শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই ফিটনেস হারানো এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটার ব্রাত্য়। রায়নাকে নিয়ে কোনও কথা না বললেও প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেটে সেই দিন আর নেই যে যুবরাজকে দলে নিতেই হবে। মোদ্দা কথা – যুবরাজও যে বুড়ো হয়ে ফর্ম হারিয়েছেন, তেমনই সময়ের সঙ্গে অনেক তরুণ ক্রিকেটারও দলে ভিড় জমিয়েছেন যুবীর জায়গা নেওয়ার জন্য়। তবে, প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে বাইরে করা যায়নি।

শুধু ধোনি কেন, বাকিদেরকেও একই কথা শোনানো উচিত! 2 শুধু ধোনি কেন, বাকিদেরকেও একই কথা শোনানো উচিত! 3 শুধু ধোনি কেন, বাকিদেরকেও একই কথা শোনানো উচিত! 4

তিনি ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলার দৌড়েও আছেন। অবশ্য় লাগাতার পারফর্ম করে যেতে পারলে, তবেই। এই মুহূর্তে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের পরিবর্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও, তাঁর ওপর চাপ রাখতে মিডিয়াতে প্রধান নির্বাচক মান্নাভা প্রসাদ বক্তব্য় রেখেছেন, ধোনি অটো-মেটিক চয়েস নন। ধারাবাহিতভাবে পারফর্ম করতে না পারলে, তাঁকেও বাইরের দরজা দেখিয়ে দেওয়া হবে। প্রসাদের এই বক্তবের পর ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্য়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সোশ্য়াল মিডিয়াতে প্রধান নির্বাচকের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রসঙ্গটিও উঠে আসে। বলা হয়, যে ক্রিকেটারটি টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট – কোনও ফরম্য়াটেই (মোট রান) দু’শো রানও করতে পারনেনি, তিনি কোন এক্তিয়ারে ধোনির মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে বড় বড় কথা শোনান পারফরমেন্স নিয়ে। ধোনি ভারতীয় ক্রিকেটকে যা দিয়েছেন, তার শিকিভাগও দিতে পারেননি প্রসাদ। এভাবে প্য়াঁক খাওয়ার পর প্রধান নির্বাচককে বলতে শোনা যায়, আসলে ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থের কথাই তাঁরা ভাবছেন। দলে কেউ কোনওদিন ফেরত আসতে পারবেন না, একথা হলফ করে বলা যায় না। কেউ পারফর্ম করলে দলে ফের জায়গা করে নিতে পারেন। যুবরাজ প্রসঙ্গেও ব্য়াকফুটে প্রসাদ। প্রসঙ্গ উল্টো পথে হাঁটছে দেখে, তিনি মিডিয়াতে আবার বক্তব্য় রেখেছেন, আসলে যুবরাজকে ছেঁটে ফেলা হয়নি, তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।

শুধু ধোনি কেন, বাকিদেরকেও একই কথা শোনানো উচিত! 5 শুধু ধোনি কেন, বাকিদেরকেও একই কথা শোনানো উচিত! 6

ধোনি ভারত কেন, বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। তর্কের খাতিরে কেউ মানতে না চাইলেও, রেকর্ড এক্ষেত্রে মাহির হয়ে কথা বলছে। যে ক্রিকেটারটি ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্য়তের কথা ভেবে সময়ের আগেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন, আবার একদিনের দলের অধিনায়কত্ব বিরাটের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে প্রধান নির্বাচকের এমন বক্তব্য় একেবারেই পছন্দ হয়নি ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক কিরন মোরের। মোরের বক্তব্য়, ”ক্রিকেটপ্রেমীদের দোষ দেবো না। তবে, এটা বলব, প্রসাদ তাঁর কাজ করছেন। সিদ্ধান্তটা ওঁর একার নয়, সবাই সম্মিলিতভাবে নিয়েছে।” এখানে বলে রাখা ভাল, মোরে একসময় ভারতীয় দলের নির্বাচকের ভূমিকাও পালন করেছেন। তিনি এরপর বলেন, ”দলে কে জায়গা পাবে, আর পাবে না। সেটা সবার জন্য়ই এক হওয়া উচিত। পারফর্ম না করতে পারলে বাকিদেরও দলে জায়গা হবে না। শুধু ধোনির ক্ষেত্রে কেন এই মাপকাঠি প্রযোজ্য় হবে। সফল হতে গেলে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্বকাপ জেতা টিমগুলির দিকে দেখুন – পরিষ্কার দেখতে পাবেন, অভিজ্ঞতা ও তারুণ্য়ের মিশ্রণ ছিল বলেই,সফল হয়ে পেরেছিল দলগুলি। টি-২০ বিশ্বকাপের কথাই ধরুন। ঊনচল্লিশ বছর বয়সেও আশিস নেহরা টি-২০ ক্রিকেট খেলছিল। অসাধারণ ফর্মেও ছিল। তাই বলছি, ধোনি যদি ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে নাও পারে, ওকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া উচিত। বিশ্বকাপের মতো সেরা মঞ্চে ধোনির অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে ভারতের।”

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *