বাবাকে হারালেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার 1

পিতৃহারা হলেন ভারতের অফ-স্পিনার জয়ন্ত যাদব। তাঁর বাবা জয় সিং নিজেও একমসয় ক্রিকেট খেলতেন। জাতীয় দলে সুযোগ না এলেও একসময় রঞ্জিতে প্রথম শ্রেণির ম্য়াচ খেলেছিলেন।  চাকরী জীবনে বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার-ইন্ডিয়ার হয়ে কাজ করতেন। জয় সিংয়ের মারা যাওয়ার খবরটি তাঁর তুতোভাই যোগেন্দ্র যাদব সবার প্রথম দেন। শুক্রবার লোধি রোডে প্রয়াত জয় সিংয়ের শেষকৃত্য় সম্পন্ন হওয়ার কথা। জয়ন্ত ছাড়াও তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্য়াকে।

বাবাকে হারালেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার 2 বাবাকে হারালেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার 3 বাবাকে হারালেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার 4

সোশ্য়াল নেটওয়ার্কিং সাইট ট্য়ুইটারে খবরটি প্রথম নজরে আসে সংবাদমাধ্য়মের। পেশায় রাজনীতিবিদ যোগেন্দ্র ট্য়ুইট করেন, অত্য়ন্ত দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার তুতোভাই, প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার ও ক্রিকেটার জয়ন্ত যাদবের বাবা জয় সিং প্রয়াত হয়েছেন।

বাবা জয় সিংকে দেখেই ক্রিকেটার হন জয়ন্ত। ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলে গত বছর অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটারটি, তাঁর ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে বাবা জয় সিংয়ের অবদানের কথা  বহুবার মিডিয়ার সামনে সাক্ষাৎকারে বলেছেন। জয় সিং বরাবরই ক্রিকেট পাগল ছিলেন। ওই খেলাটাই তাঁর কাছে সবকিছু ছিল সারা জীবন। পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে জয়ন্ত একসময় বলেছিলেন, তাঁর বাবাই তাঁকে দিল্লির ক্রিকেট অ্যাকেডেমিতে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই হাতেখড়ি। আর তারপর জাতীয় দল পর্যন্ত তাঁর সফর।

ক্রিকেট কেরিয়ারের গত দুবছর বেশ উল্লেখজনক জয়ন্ত যাদবের। বড় ব্রেক বলতে গেলে আইপিএলে সুযোগ পাওয়া। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে ভালো পারফর্ম করার সুবাদে নির্বাচক নজরে আসেন। তারপর ২০১৬ রঞ্জি মরশুমে ৩৩টি উইকেট নিয়ে প্রতিযোগিতার অন্য়তম সেরা বোলার হিসেবে প্রশংসা আদায় করে নেন। স্ট্রাইক-রেটও উল্লেখ করার মতো, ৩২.২। রঞ্জির ওই চোখ ধাঁধানো পারফরমেল্স এই অফ-স্পিনারটির সামনে ভারতীয়-এ দলের রাস্তা খুলে দেয়। গত নভেম্বরে জাতীয় দলে খেলারও সুযোগ চলে আসে। ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অভিষেক হয় লাল বলের ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক মঞ্চে। ভারতের হয়ে চারটি টেস্ট ম্য়াচ খেলে ১১টি উইকেট নিয়েছেন। জাতীয় দলে এই বোলিং অল-রাউন্ডারটি ব্য়াটহাতে একটি হাফসেঞ্চুরিসহ ২২৮ রান করেছেন এখনও পর্যন্ত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *