রাজকোট, ১২ নভেম্বর: রাজকোটের পিচকে ব্যাটিং স্বর্গের তকমা দেওয়া যেতেই পারে। বোলারদের জন্য এই পিচে বলতে গেলে কিছুই নেই। এমনকি ভারতের স্পিনিং কন্ডিশনেও স্পিন বান্ধব কোন উইকেট তৈরি করা হয়নি। বরং, চিন্তা করা হয়েছে শুধু ব্যাটসম্যানদের কথাই। সেই হিসেবে ব্যাটসম্যানরাই রাজত্ব করে গেল পুরো চারটি দিন। পঞ্চম দিনও যে একই অবস্থা হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। সুতরাং, রাজকোটের টেস্ট ম্যাচটি এগিয়ে যাচ্ছে নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকেই।
তবে ভারতের বিরুদ্ধে রাজকোটে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষেও নিজেদের দাপট অব্যাহত রেখেছে ইংল্যান্ড। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের মাটিতে নাস্তানাবুদ হওয়া ইংলিশরা নিজেদের যেন সাদা পোশাকে ফিরে পেয়েছে। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ভারতকে পিছনে ফেলে দিয়েছে তারা।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৫৩৭ রানের পর ৪৮৮ রানে নিজেদের সবকটি উইকেট হারায় বিরাট কোহলির ভারতীয় দল। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বিনা উইকেটে ১১৪ রানে মাঠ ছেড়েছেন অ্যালিস্টার কুকরা। সব মিলিয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে পিছিয়ে থাকার পর ভারত এখনও পর্যন্ত মোট ১৬৩ রানে পিছিয়ে থাকে।
এর আগে তৃতীয় দিনে ৩১৯ রানে চার উইকেট হারানো ভারত চতুর্থ দিন আরও ১৬৯ রান তুলে বাকি উইকেট হারায়। অধিনায়ক কোহলি ৪০ রান করে আদিল রশিদের বলে হিট আউটের শিকার হন। ২০০২ সালের পর প্রথম কোন ভারতীয় ব্যাটসম্যান টেস্টে হিট উইকেট হলেন। ১৯৪৯ সালে লালা অমরনাথের পর ভারত অধিনায়ক হিসেবে এই তালিকায় কোহলি দ্বিতীয়। তবে শেষ দিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৭০ রানের সুবাদে পাঁচশোর কাছাকাছি রান তোলে ভারত। লেগস্পিনার রশিদ পান চার উইকেট। আর দুটি উইকেট করে নেন মঈন আলী ও জাফর আনসারি।
প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও দারুণ করে ইংলিশ শিবির। দিনের বাকি ৩৭ ওভার কোন উইকেট না হারিয়েই কাটিয়ে দেন দুই ওপেনার কুক ও অভিষেক ঘটানো তরুণ হাসিব হামিদ। কেরিয়ারের প্রথম টেস্টেই হামিদ হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন। দিনের শেষে ১১৬ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন কুক। সব মিলিয়ে টেস্ট অভিষেকে ড্র’য়ের সাক্ষি থাকতে চলেছে রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়াম৷