লন্ডন: রবিবার ওভালে ভারত বনাম পাকিস্তানের মেগা ম্যাচ। টেনশনের চোরাস্রোত বইছে দুই শিবিরেই। আর হাই-প্রোফাইল এই লড়াইয়ের আগেই কিনা অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিরাট কোহলি? সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রচার হতেই দেশের ক্রিকেটভক্তদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। তবে কি ফাইনালের লড়াই থেকে বাদ পড়লেন তিনি? না, আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। এক্কেবারে সুস্থ রয়েছেন ভারত অধিনায়ক। সংবাদমাধ্যমে ভুল খবর প্রচার হওয়াতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চলেছে বিরাটবাহিনী। ভারত-পাক ম্যাচ মানেই টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। দুই প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট-যুদ্ধ মানেই সব চেয়ে বড় বক্স অফিস। তাই ফাইনালের ওঠার পর থেকেই টিম ইন্ডিয়ার প্রতিটি খুঁটিনাটি নজরে রাখছে সংবাদমাধ্যমগুলি। কোন ক্রিকেটার কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বৈরথের আগে মাঠের বাইরের পরিবেশ ঠিক কতটা উত্তপ্ত, তারই আঁচ পাওয়ার চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত। আর তাতেই হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে ভারতের ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি নাকি অসুস্থ।
আসলে ফাইনালের জন্য শুক্রবারই বার্মিংহাম থেকে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দলের। নির্ধারিত সূচি মেনে গোটা দলে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিলেও বিরাট বার্মিংহামেই থেকে যান। আর তখনই ছড়ায় এই রটনা। বাংলাদেশকে সদ্য দুরমুশ করার পর অসুস্থতার জন্যই রয়ে গিয়েছেন তিনি। এমনকী তাঁর অসুস্থতা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এই খবর সম্পূর্ণ ভুল। একটি বৈঠকের জন্যই দলের সঙ্গে যাননি তিনি। পরে বৈঠক সেরে আলাদাভাবে লন্ডন পৌঁছে যান বিরাট।
বিরাটের অসুস্থতার খবর বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচ, আর বিরাট থাকবেন না, তাও কি সম্ভব? বিরাট না থাকলে মাঠে বল গড়ানোর আগেই পাকিস্তানের অ্যাডভান্টেজ। মানসিক দিক থেকে অনেকটা ভেঙে পড়বে ভারতীয় শিবির। সেই ভয়কে স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি পুরোদস্তুর সুস্থ। ফাইনালে মাঠে নামতে চলেছেন তিনি।
পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়েই এবারের মিনি বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। শেষদিনও প্রতিপক্ষ তারাই। এক শিবিরে যখন বদলার আগুন জ্বলছে, তখন অন্য শিবির ঠান্ডা মাথায় টানা দু’বার ট্রফি জয়ের স্ট্র্যাটেজি সাজাচ্ছে। পাক বধ করেই ক্যাপ্টেন হিসেবে দেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এনে দেওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য বিরাটের। তিনি সফল হতে পারবেন কিনা, সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।