লন্ডনের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আয়োজিত হওয়া ম্যাচে ইয়র্কশায়ারের বিরুদ্ধে লঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলাকালিন ম্যাচের প্রথমদিনেই কোমরে মারাত্মক চোট পেলেন ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা জোরে বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। একটা সময় কোমরের চোটের যন্ত্রণার ফলে মাঠে পড়ে রীতিমতো কাতরাতে দেখা যায় তাঁকে। যার ফলে খেলার মধ্যিখানে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল জিমিকে। তাঁর পরিবর্তে ওভারের বাকি বলগুলি করে দেন রায়ান হ্যারিস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রের খবর, অ্যান্ডারসনের চোটের স্ক্যান করানো হয়েছে। তাঁর চোট আপাতত খুব গুরুত্বর নয়। যদিও ফাইনাল রিপোর্ট এখনও তাদের হাতে আসেনি। রিপোর্ট এলে সেটা দেখেই এই অভিজ্ঞ ব্রিটিশ বোলারটিকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল।
৩৪ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের এই জোরে বোলারটির লঙ্কাশায়ারের হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের আরও চারটি ম্যাচে অংশগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু কোমরের চোটের কারণে জিমির আপাতত আর মাঠে নামা হবে না। শেষ দু’বছরে এটা ছিল তাঁর চতুর্থবার চোটের কবলে পড়া। চোট সারিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে দলে ফিরতেও চেয়েছিলেন তিনি। যদিও শেষমেশ তা আর সম্ভব হয়নি। চোটের কারণে ইংল্যান্ডের শেষ ২৩টি টেস্টের ৮টিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি অ্যান্ডারসন। কাঁধের পুরানো চোট সারিয়ে এবারে অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করছিলেন জিমি। অনেকে ভেবেছিলেন, আগামী জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শুরু হতে চলা চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত তাঁকে চোটমুক্ত অবস্থায় পা্ওয়া যাবে। যদিও কোমরের চোট সারিয়ে ওই সিরিজে ইংল্যান্ড দলে অ্যান্ডারসনের ফেরার মতো সময় হাতে পর্যাপ্ত রয়েছে। এরপর টিম ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজও খেলবে। সেই সিরিজেও খেলার ব্যাপারে আশাবাদী ইংল্যান্ডের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১২২ টেস্টে ৪৬৭টি উইকেট তুলে নেওয়া অ্যান্ডারসন।
উল্লেখ্য, টেস্টে ক্রিকেটে নিজের কেরিয়ার লম্বা করার জন্য সীমিত ওভার ক্রিকেটে আর অংশগ্রহণ করেন না জিমি। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে সামনের মাসে ঘরের মাঠে আয়োজিত হতে চলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড দলে তাঁকে নিশ্চিতভাবে দলে পাওয়া যাবে না। তাঁর পরিবর্তে টিম ইংল্যান্ডের হয়ে ২২ গজে বল হাতে ঝড় তোলার জন্য থাকবেন স্টুয়ার্ট ব্রড, ক্রিস ওকস, মার্ক উড এবং বেন স্টোকসরা।