মুম্বই: পুণের বিরুদ্ধে আইপিএল ফাইনালের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি মুম্বইয়ের। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১২৯ রান তুলতে সক্ষম হয় রোহিত শর্মার দল। স্কোরটা যেন মোটেও যথেষ্ট ছিল না। তাও আবার এমন একটা দলের বিরুদ্ধে যারা এই আইপিএলেই তিনবার হারিয়েছে নীতা আম্বানির টিমকে। তবে বল হাতে মুম্বই বোলারদের আগুনে পারফরমেন্স সব হিসেব যেন ওলটপালট করে দেয়। কম রানের পুঁজি নিয়েও শেষ পর্যন্ত স্মিথ-ধোনির দলকে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য আইপিএলের খেতাব ঘরে তুলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
আইপিএল ২০১৭ঃ ফাইনালে দেশজুড়ে অবাধ বেটিং, পুলিশের জালে আটক একাধিক বড় বেটিং চক্র !
তিনবার রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই আইপিএল জিতেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুধু ফাইনাল নয়, যেভাবে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দলকে পরিচালনা করেছেন তিনি, তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। তাই কয়েকটি মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ভারতীয় দলকে কি তাহলে নেতৃত্ব দিতে তৈরি এই ডান হাতি ব্যাটসম্যানটি। খোদ রোহিতকে এই প্রশ্নটি করা হলে তিনি বলেন, “এটা অনেক দূরের ব্যাপার, তাই চিন্তা করি না। তবে এমন সুযোগ যদি কখনও আসে তাহলে আমি সেটা লুফে নেব।”
আইপিএল ২০১৭ঃ ফাইনালে হেরে বিপক্ষ দলের সম্বন্ধে কি বললেন পুণে মালিকের ভাই হর্ষ গোয়েঙ্কা!
আইপিএলের ট্রফি জিততে শেষ তিন ওভারে ৩০ রানের দরকার ছিল পুণের। স্মিথদের জন্য কাজটা খুব একটা কঠিন ছিল না। রোহিত অবশ্য বলছেন, সেই সময়ও তাঁর বিশ্বাস ছিল যে পুণে নয়, জিতবে তাঁর দল মুম্বই। শেষের তিন ওভার তিনি বল করান দলের তিন সেরা বোলার মালিঙ্গা, বুমরাহ ও জনসনকে দিয়ে। আর এই তিনজনের দৌলতেই মেগা ফাইনালটি ১ রানে জিতে যায় তাঁরা। তাঁদের সাথ দেয় হায়দরাবাদের পিচও।
গোটা বিষয়টা নিয়ে মুম্বই অধিনায়ক বলে দেন, “হায়দরাবাদের পিচ থেকে অনেকটা সাহায্য পাচ্ছিলাম। আর সেই সুযোগটাকে কাজে লাগানোই লক্ষ্য ছিল। তিন ওভার যন বাকি তখনও আমার বোলারদের ওপর বিশ্বাস ছিল। যেখানেই খেলা হোক না কেন, ওরা নিজেদের কাজটা করেছে। আমি শুধু ওদের বলেছিলাম নিজেদের মতো বল করতে এবং ফিল্ডিং সাজাতে। পুরো স্বাধীনতা ছিল ওদের।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি এখন অনেক শান্ত হয়ে গিয়েছি। ম্যাচটা দুর্দান্ত ছিল। দর্শকরা দারুণ একটা লড়াই দেখেছে। ওইরকম একটা রানের মধ্যে বিপক্ষকে রুখে দেওয়াটা সত্যিই কৃতিত্বের ব্যাপার। এর থেকে বেশি আমি আর কী চাইতে পারি।”