বিশেষ প্রতিবেদন: কিছুতেই যেন রোগটা সারানো যাচ্ছে না। কড়া হাতে মোকাবিলা করেও লাভ নেই। মোটামুটি সেই ইঙ্গিত দিয়েই ফের আইপিএলে গড়াপেটার কালো ছায়া। আরও একবার কলঙ্কিত হল দেশের এই কুড়ি-বিশের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বৃহস্পতিবার কানপুর থেকে তিন বুকিকে ধরে কানপুর পুলিশ৷ এরপরই ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে গোটা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয় যে, পুলিশ গ্রেফতার করার আগে থেকেই বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী শাখা এই তিনজন অভিযুক্তের ওপর নজর রেখেছিল। তিনজন বুকির নাম হল রমেশ নারায়ন শাহ,বিকাশ চৌহান ও রমেশ কুমার৷ ম্যাচের দিন ল্যান্ডমার্ক হোটেলেই ছিলেন তারা৷ এই হোটেলেই উঠেছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও গুজরাত লায়ন্সের ক্রিকেটাররা।
বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, “বৃহস্পতিবার বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিটের সহযোগিতায় কানপুরে পুলিশ বুকি সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এসিউ ও বিসিসিআইয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। এই স্বার্থে তদন্ত চলবে।” ধৃতদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ও প্রায় ৪১ লক্ষ টাকার মতো উদ্ধার করা হয়েছে। জেরায় জানা গিয়েছে, বুকিরা গুজরাত লায়ন্সের দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কানপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে ওই দুই ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রাজস্থানের আজমের থেকে পুরো গড়াপেটা পরিচালিত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
এটা অবশ্য প্রথম নয়, এর আগেও স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে কলঙ্কিত হয়েছিল আইপিএল। এর ফলস্বরূপ দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয় রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসকে। এবার স্পট ফিক্সিংয়ে নাম জড়াল গুজরাত লায়ন্সের। কানপুরের পুলিশ সুপার আকাশ কুলহারি এই বিষয়ে বলেন, “জেরায় আমরা কিছু নাম জানতে পেরেছি। তবে সেই নামগুলো এখনও নিশ্চিত নয়। যে ক্রিকেটারদের নাম পাওয়া গিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অবশ্যই ডাকা হবে।”