বিসিসিআই ও আইসিসির মধ্যে রাজস্ব বন্টন ব্যবস্থার পুর্নগঠন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। এই সমস্যার জেরে সম্ভবত আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নাও নিতে পারে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দল। কারণ গত বুধবারই আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভার বৈঠকে এই ইস্যু নিয়ে ভোটাভুটিতে হারতে হয়েছে বিসিসিআইকে। এই অবস্থায় বিসিসিআই গোঁসা করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল না পাঠালে আখেরে ভারতেরই ক্ষতি হবে। এমনটাই মনে করেন আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয় মুনাফা অর্জনের জন্য অন্য কোনও রাস্তা দেখা উচিত। এই নিয়ে সমস্যার জেরে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করলে তাতে শুধুমাত্র আমাদেরই ক্ষতি হবে।”
বিরাটরা এই টুর্নামেন্ট বয়কট করলে সারা বিশ্বের সামনে বিসিআইয়েরই মান নিচুতে নামবে এমনটাই মনে করেন শুক্ল। বলেন, “আমাদের কোনওভাবেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করা উচিত নয়। প্রাপ্য রাজস্ব আদায়ের জন্য অন্য কোনও রাস্তা অবলম্বণ করা উচিত। কোনও বাজে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আমাদের একটু অপেক্ষা করে দেখতে হবে। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না পাঠিয়ে বিশ্ব ক্রিকেট থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা উচিত নয়।”
দুবাইতে আইসিসির বৈঠকের পর নির্গত সিদ্ধান্তে যথেষ্টই হতাশ হয়েছেন ৫৭ বছর বয়সী এই আধিকারিক। তিনি এই বৈঠককে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যাও দিয়েছেন। আইপিএল চেয়ারম্যান বলেন, “দুবাইয়ের বৈঠকে যা হয়েছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা রাজস্বের যতটা ভাগ চেয়েছিলাম তা আমরা পাই নি।”
আইসিসির নতুন রাজস্ব নিয়মে বিসিসিআই ২৯৩ মিলিয়ন ডলার পাবে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের আট বছরের চক্রে। ‘বিগ ত্রি’ প্রথা প্রচলিত থাকাকালীন ৫৭০ মিলিয়ন ডলার করে পেত তারা। এই ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির জন্য হয়ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল নাও পাঠাতে পারে বিসিসিআই।
কয়েকদি আগেই আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বিসিসিআইকে অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল এই নতুন ব্যবস্থা মেনে নেওয়ার জন্য। কিন্তু বিসিসিআই তা নাকচ করে দিয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলনের ফলে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে ১৪৩ মিলিয়ন ডলার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এদিকে জিম্বাবোয়েকে ৯৪ মিলিয়ন ডলার ও বাকি সাতটি বোর্ডের ভাগ্যে জুটবে ১৩২ মিলিয়ন ডলার।