দশম আইপিএল থেকে সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা। একদিকে চোটের কারণে একের পর এক বিদেশি তারকা ক্রিকেটাররা নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে এই লিগ থেকে। আবার ধর্মঘটের কারণে প্রারম্ভিক ম্যাচ ও ফাইনাল ম্যাচ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা ঠিক করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আইপিএল কর্তাদের।
আইপিএলে গতবারের চ্যম্পিয়ন হয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। প্রথা মেনেই বিলাসবহুল লিগের শুরু ও শেষ হওয়ার কথা তাই হায়দ্রাবাদেই। কিন্তু গত এক মাস ধরে বকেয়া বেতন পাওয়া নিয়ে ধর্মঘট করেছেন হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা। গ্রাউন্ডসম্যান থেকে শুরু করে প্রায় ১২০ জন কর্মী এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ গত দু’মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। কাজেই এই বেতন না পেলে কোনওভাবেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না তাঁরা। হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এর জন্য বিসিসিআইকে দায়ী করেছে। তাঁদের অভিযোগ, বিসিসিআইয়ের কাছে তাঁরা এখনও ৫০ কোটি টাকা পায়। শেষ তিন বছরে মাত্র ৬৭ কোটি টাকা পেয়েছে হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। তাই প্রচুর কাজও আটকে পড়ে আছে।
এদিকে, আগামী ৫ই এপ্রিল হায়দ্রাবাদে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হওয়ার কথা। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের স্থান হিসেবেও হায়দ্রাবাদ-কেই নির্ধারিত করা হয়েছে। এই সমস্যায় দাঁড়িয়ে ম্যাচগুলি রায়পুরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে বিসিসিআই।
তবে এই প্রথমবার যে হায়দ্রাবাদ থেকে আইপিএল সরছে তা নয়। এর আগে ২০১০ সালে তেলেঙ্গানা আন্দোলনের জন্যও হায়দ্রাবাদ থেকে আইপিএল ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আইপিএলে দেখা যাবে না দ্যুমিনিকে, হতাশ দিল্লির সমর্থকেরা