আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যান র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম চার জন ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহলি, কেন উইলিয়ামসন ও জো রুট দুনিয়ার সব থেকে ভাল ব্যাটসম্যনদের মধ্যে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু প্রাক্তন ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের চোখে, বিরাট কোহলিই হলেন সবার শীর্ষে।
সম্প্রতি এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বিরাট ওর নিজের মত। কারোর সঙ্গে ওর তুলনা করা যায় না। স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন, জো রুট সবাই সেরা হলেও, বিরাট সেরার সেরা।”
প্রাক্তন এই অলরাউন্ডার কোহলির খেলা খুব মন দিয়ে দেখেন। তাই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিরাটের প্রতিটা পদক্ষেপ বর্ণনা করে গেলেন। ফ্লিনটফের মতে কোহলি একজন বুদ্ধিমান ক্রিকেটার। কোহলির নিজের খেলার ওপর নিজের ভাল নিয়ন্ত্রণ আছে। তাই একটি ম্যাচ জিতিয়েই কোহলি মাঠের বাইরে আসতে পারে। কোহলির টেস্ট ব্যাটিং নিয়ে ফ্লিনটফ বলেন, “ক্রিকেটের সমস্ত রকম শট ও মারতে জানে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট খেলার সময় ও শান্তভাবে রান করার দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এটাই ওর মহানতার পরিচয়।”
‘অধিনায়ক হিসেবে আমি বিরাটের অর্দ্ধেকও নই’, বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
মাত্র ২৮ বছর বয়স হলেও কোহলিকে তিনি একজন পরিপক্ক ক্রিকেটার হিসেবেই মানতে চান। যদিও শেষ দু’বছরে কোহলির খেলা ও মাঠের ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটা বিরাট বদল এসেছে। কারণ দেখিয়ে কোহলির পরিপক্কতার পরিচয় দিতে গিয়ে ইংলিশ অলরাউন্ডার বলেন, “সীমত ওভারের খেলায় কোহলিকে বেশি বাউন্ডারি মারতে দেখা যায়। ও এমন কোনও শট মারেনা যাতে ও আউট হতে পারে। এককথায় ও খুব একটা ঝুঁকি নিতে চায় না। এরফলেই ও ম্যাচ উইনার।”
শেষবার ইংল্যান্ডে গিয়ে কোহলির প্রদর্শণ ভাল হয়নি। ১০ টি ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রান করেছিল। ফলে অনেকেই কোহলির সমালোচনা করেছিল। তবে ফ্লিনটফ আশাবাদী এবার কোহলি ইংল্যান্ডে এলে ভালই প্রদর্শণ করবে। তিনি বলেন, “আমার খুব দুঃখ লাগে যখন কেউ বলে কোহলি ভারতীয় উপমহাদেশের পিচেই সফল, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার দ্রুত গতির পিচে ও খেলতে পারে না। এটা খুবই বাজে কথা। ও এবার ইংল্যান্ডে এলে ভালই খেলবে। নিজের খেলাকে ও সেভাবেই তৈরি করে নিয়েছে।”