ডোপ টেস্টে ফাঁসার জন্য ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। আবার এই আইনের নতুন ফাঁদে পড়লেন তিনি। জামাইকা অ্যান্টি ডোপিং কমিশনের (জাডকো) একটি আপিলের ভিত্তিতে তাঁর এই শাস্তি আরও একছর বাড়ানো হল।
কেন করা হল এমন? ২৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার ওয়াল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির নিয়ম ভঙ্গ করায় তাঁর ওপর ক্রিকেট এক বছরের নির্বাসনের শাস্তি আরোপ করা হয়েছিল। পাশাপাশি কিছু শর্তও আরোপ করা হয়েছিল। রাসেলের কাছে তাঁর ব্যক্তিগত গতিবিধি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিল জাডকো। কিন্তু সেই বিষয়ে রাসেল জাডকোকে ঠিক মত সহযোগীতা না করায়, জাডকো জামাইকায় পাঁচ সদস্যের অ্যান্টি ডোপিং ট্রাইবুনালে আপিল করে। তখনই রাসেলের শাস্তি আরও বাড়ানো হয়।
জাডকোর কথায় রাসেল তাঁর ব্যক্তিগত গতিবিধির ঠিক মত বয়ান জমা দিতে না পারায়, জাডকোর আইন অমান্য করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করে হয়েছিল ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি, ১ জুলাই ও ২৫ জুলাই তিনি কোথায় ছিলেন ও কী করেছিলেন। কিন্তু রাসেল এই তথ্য জমাই দেন নি জাডকোয়। এতেই অবমাননা করা হয়েছে জাডকোর। তবে রাসেলের কথা অনুযায়ী, তিনি জানতেন না কীভাবে ব্যক্তিগত বিষয়ের গতিবিধির রিপোর্ট জমা দিতে হয়। রাসেল তাঁর ট্রাভেল এজেন্ট কে এবিষয়ে দেখার জন্য বলেছিলেন ও ক্রিকেটে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন।
যাইহোক, জাডকো আইনের অবহেলা করার জন্য রাসেলের নির্বাসন এক বছর থেকে বাড়িয়ে দু’বছর করা হল।
এদিকে, আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স ইতিমধ্যেই রাসেলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁকে দল থেকে বাদ না নিয়ে, এখনো রেখে দিয়েছে। কেকেআর ভেঙ্কি মাইসোর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁরা মনে করেন না রাসেলের কোনও দোষ আছে। তিনি কোনও পরিস্থিতির শিকার। তাই কেকেআর পাশেই আছে এই বিস্ফোরক অলরাউন্ডারের।