সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই বাংলার ক্রিকেটের যে প্রভূত উন্নতি হতে চলেছে তা অনুমান করা গিয়েছিল। এবারের আপিএলের নিলামে তারই ফল পাওয়া গেল হাতেনাতে। বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলার ছাপ সেভাবে নেই বললেই চলে। ভারতীয় জাতীয় দলে বাংলার ঝান্ডা উড়িয়ে যাচ্ছেন ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু মনোজ তিওয়ারি, লক্ষীরতন শুক্ল বা ঋদ্ধিমান সাহা ছাড়া নতুন কোনও মুখ দেখা যাচ্ছিল না জাতীয় দল বা আইপিএলেও। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দূরদর্শিতার ফলে গঠিত মিশন টোয়েন্টি টোয়েন্টি সেই খরা শেষ করল।
দাদার তৈরি একাদেমি থেকেই উঠে এল আইপিএলে এক নতুন মুখ, সায়ন ঘোষ। ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার দ্বাদশ শ্রেণির পর থেকেই ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছিলেন আর্থিক অনটনের কারণে। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা ছাড়তে পারেনি। আর সেই একনিষ্ঠ আগ্রহের ফলই পেল সায়ন এবার। খেলার সূত্রেই ভারতীয় রেলওয়েতে গ্রুপ-ডি’তে চাকরি পান তিনি। পরে নদিয়ার জেলা ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপক হওয়ার পরই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ আসে।কিছুদিন আগেই সায়ন সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্টে পূর্বাঞ্চলকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কারিগড় হয়েছিলেন। অবশ্য এর আগেই সে, সৌরভের স্বপ্নের ভিশন টি টোয়েন্টি ক্যাম্পে ট্রায়াল দিয়ে এসেছিল।
সায়ন নিজেই জানায়, ‘২০১৪ সালে স্থানীয় ক্রিকেটে ছিলাম। সেখানে খেলার সময়েভিশন টি টোয়েন্টি ক্যাম্পে ট্রায়াল দিয়ে এসেছিলাম।প্রথম সপ্তাহের পরই লক্ষীদা (লক্ষীরতন শুক্ল) আমার কাছে এসে বলেন, আমি নির্বাচিত হয়েছি।’
ব্যাট হাতে বারবার অগ্নি পরীক্ষার সামনে পরতে হয়েছে বাংলার গর্ব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সমস্ত কঠিন সময় পেরিয়ে তিনি আবারও ফিরেছেন মাঠে। তাই কামব্যাক হিরো হিসেবে তিনি এক অনুপ্রেরণা তরুণ প্রজন্মের কাছে। আজ হাতে ব্যাট না থাকলেও, সিএবি’র ব্যাটন আছে হাতে। আর সেই সুবাদেই অদূর ভবিষ্যতে বাংলার তরফে, সায়নের মত আরও এক ঝাঁক ক্রিকেটার উঠে আসবে জাতীয় ক্রিকেটে। এমনটাই মনে করছে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমী মহল।