বোলারদের উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন মুশফিক, এবার জানালেন কারন 1

আজ ব্লুমফন্টেইনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের অগ্নিপরীক্ষা শুরু হয়েছে। চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পচেফস্ট্রুমে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং উইকেটে ৩৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯০ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। পচেফস্ট্রুমে ফলোঅন এড়ানোটাই বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি। প্রথম টেস্টে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি তীব্র হয়ে ওঠে। এবারের চ্যালেঞ্জ আরো বড়। কেননা ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ তামিম ইকবালের টেস্ট সিরিজ শেষ। এমনি অবস্থায় ব্লুমফন্টেইনের পেস ও বাউন্সসর্বস্ব উইকেটে আজ দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের কঠিন চ্যালেঞ্জে নামছেন মুশফিকুর রহিম ও তার সহযোদ্ধারা। ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম এক সাথে দু’জন বাংলাদেশ দলের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন। এরপর প্রায় দশ বছর কেটে গেছে। এই লম্বা সময়কালে বাংলাদেশ টেস্ট দল একবারই মাত্র সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়া খেলতে নেমেছিল। ২০১৩ সালে গল টেস্টে খেলেননি দু’জনের কেউ। অবশেষে চার বছর পর আবার সেই অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। সাকিব-তামিম দুজনের না থাকাটাকে ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন বাংলাদেশ কাণ্ডারি মুশফিক।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আপনার সেরা দুজন প্লেয়ার যখন থাকবে না, তখন অবশ্যই এটা বড় এক ধাক্কা। যেহেতু প্রথম টেস্টে আমরা খুব বাজে ভাবে হেরেছি। তাই এই দুজনকে খুব দরকার ছিল।’ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩৩৩ রানে হারের পর বোলারদের ওপর কথার চাবুক কষেছেন মুশফিকুর রহিম, কারন পচেফস্ট্রুম টেস্টে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ বোলারদের এতটাই করুন দশা ছিল যে, ম্যাচে সবচেয়ে ভালো বোলিং করেছেন ‘ব্যাটসম্যান’ মুমিনুল। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে বাঁহাতি স্পিনে তিনিই কিনা তুলে নিলেন ৩ উইকেট। মুমিনুল প্রসঙ্গে অধিনায়ক মুশফিক বলেন, ‘ মুমিনুল অবশ্যই ভালো বোলিং করেছে। তবে ব্যাটসম্যানরা কমবেশি তাকে উইকেট দিয়ে এসেছে। তবে আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট মুমিনুলের মতো একজন বোলার আমরা পেতে যাচ্ছি, যেটা আমাদের সামনে সহায়তা করবে। এটা বিবেচনায় রেখে সেরা সমন্বয় (কাল) দাঁড় করানোর চেষ্টা করব।’ এদিকে পচেফস্ট্রুম টেস্টের শেষে নিজ দলের বোলারদের সমালোচনা প্রসঙ্গে ব্লুমফন্টেইন টেস্টের আগে সেটির ব্যাখ্যা দিলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক, ‘খারাপ করলে মানুষ বলবে সেটাই স্বাভাবিক। অধিনায়ক হিসেবে আমি ফল নিয়ে কখনো উদ্বিগ্ন থাকি না। প্রক্রিয়াটা নিয়েই বেশি চিন্তা করি। বোলাররা নিজেদের সামলে উঠতে পারে, সেই সুযোগ আছে। একটা বলে মনোযোগ সরে গেলে আউট হয় যেতে হয় ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু বোলারদের ফিরে আসার অনেক সুযোগ থাকে। আমার বার্তা এটাই ছিল, ফল নিয়ে চিন্তা না করে প্রতিটি বলকে একটা সুযোগ ভেবে যদি চেষ্টা করে, সেটা শুধু দলের নয়, নিজেদেরও অনেক কাজে দেবে। তারা যদি আমার বার্তাটা বোঝার চেষ্টা করে, আশা করি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এই টেস্টে।’

Nazmus Sajid

Sports Fanatic!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *