ফের কালিমালিপ্ত হল আইপিএল, বেটিংয়ে জড়াল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও কেকেআরের নাম 1
গৌতম গম্ভীর

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল শুধুমাত্রই খেলা বা বিনোদন নয়, এটি হল কম সময়ে ব্যাপক অর্থ উপার্জনের একটা প্রণালী। তা সেই পথ আইনি বা বেআইনি যাই হোক না কেন। আইপিএলের ইতিহাসে কলঙ্ক আসেনি এমন নয়। বেটিং কেলেঙ্কারির জন্য ইতিমধ্যেই আইপিএল থেকে দুটি ফ্রাঞ্চাইজিকে নির্বাসিত করা হয়েছে। একজন ক্রিকেটারের গোটা জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারপর বেশকিছু বছর কলঙ্ক মুক্ত থাকলেও, আবার কর্দমাক্ত হল আইপিএল।

সামনের ম্যাচেই ফিরছেন আরসিবির আরও এক তারকা ক্রিকেটার, কে সে! জেনে নিন এই প্রতিবেদনে

রবিবারের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে বেটিং করার জন্য চার জনকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুম্বই বেঙ্গালুরু হাইওয়ের পাশে একটি বাগান বাড়িতে চার-পাঁচজন জমায়েত হয়েছিল বেটিংয়ের জন্য। ভারতী বিদ্যাপীঠ থানার পুলিশ খবর পেয়ে সেই বাগান বাড়িতে হানা দিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে তাদের। গ্রেফতার হওয়া চারজন হলেন, গুজরাট থেকে আসা রাজেশ কান্তিভাই কক্কড়, পদ্মাবতীর বাসিন্দা সঞ্জয় নটবরলাল শাহ, নানা পেঠের বাসিন্দা বিজয় মোহন তাওড়ে, ধনকাওয়াডির বাসিন্দা দত্তারায়া চন্দ্রকান্ত জগতাপ।

ধৃতদের কাছ থেকে বেশকিছু মোবাইল, একটি টিভি ও কিছু নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে। ভারতী বিদ্যাপীঠ থানার সাব ইন্সপেক্টর উত্তম বুদগুদে বলেন, “একটি সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধৃতদের হাতেনাতে ধরে ফেলি। জামভুলওয়াদির একটি বাগান বাড়িতে এই বেটিং চক্রের আসর বসেছিল।”

পুলিশের জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেন, “কক্কড়-শাহের মাধ্যমে গুজরাট থেকে পুনেতে এসেছিল। শাহ একজন বুকি। জাগতাপ-তাওড়ের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই বাগান বাড়িটি তাওড়েরই ছিল। বেটিংয়ে আসা টাকাগুলি বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেলার কথা ছিল। এর জন্য বুকিদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। তারা ২০ শতাংশ করে নেওয়ার কথা বলেছিল। বেটিয়ের পর সবার কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করার কথা ছিল।”

আইপিএলে ক্রিস লিনের আসা ক্রমস ক্ষীন হচ্ছে, এমআরআই রিপোর্ট দেখেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত

আইপিএল শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন শহরে এধরনের বেটিংয়ে ছোটখাট বা কখনও বড় আসর বসে। সবক্ষেত্রে তাদেরকে চিহ্নিত করা বা ধরাও যায় না। শুধুমাত্র মুম্বই নয়, ইন্দোরেও আইপিএল নিয়ে নোংরা ব্যবসা শুরু হয়েছে। পাঞ্জাব ও পুনের ম্যাচে এক কুখ্যাত সমাজবিরোধী অনলাইনে সমস্ত টিকিট আগে কিনে নিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করছিল। এর আরও একধাপ এগিয়ে, একজন নিজেই ম্যাচের টিকিট ছাপিয়ে নিয়েছিল। এভাবেই জাল টিকিট বিক্রি করতে গিয়েও তাঁকে ধরা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *