অবশেষে পুনের পিচ নিয়ে মুখ খুললেন পিচ কিউরেটর পাণ্ডুরঙ্গ সালগাওকর। বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সোচনীয় হারের পর পুনের পিচ নিয়ে কিম জলঘোলা হয়নি।প্রাক্তণ ক্রিকেটার থেকে ক্রিকেট বিশেষঞ্জ সবাই আঙুল তুলেছিলেন ঘাসহীন রুক্ষ পিচের দিকে।
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রবীন এই কিউরেটর জানান যে এধরনের পিচ না করার জন্যই তিনি বলেছিলেন বিসিসিআই পিচ কমিটিকে বলেছিলেন।সালগাওকার বলেন, ‘আমি আগেই বোর্ডকে বারণ করেছিলাম এধনের ঘাসহীন রুক্ষ পিচ না বানানোর জন্য।’ প্রথমদিনেই এই পিচে যেভাবে অস্ট্রেলিয়ার ন’টি উইকেট পড়ে যায় তা দেখে সবাই চমকে গিয়েছিলেন। পরেরদিন, ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারদের সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ায় পিচ নিয়ে ক্ষোভ উঠেছিল চরমে।৩৩৩ রানের ঐতিহাসিক পরাজয় কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছিল না। প্রথম দিনেই এই পিচে বল ঘুরতে দেখে প্রবাদপ্রতীম অস্ট্রেলিয় স্পিনার শেন ওয়ার্ন বলেন, এই পিচ দেখে মনে হচ্ছে অস্টম দিনের খেলা চলছে। সালগাওকার আরও বলেন, ‘আমি নাম না করেই বলছি। আমি তাঁদের বারন করেছিলাম পিচ থেকে ঘাস না তুলতে এবং পিচে জল দেওয়ার জন্য। তা না হলে পিচের আর্দ্রতা শুকিয়ে রুক্ষ ও শক্ত হয়ে যাবে।ফলে স্পিন বোলারদের ক্ষেত্রে মারাত্মক হয়ে উঠবে।এভাবেই আমি তাঁদের যথাসাধ্য বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম।’ পুনের এই সোচনীয় পরাজয় যেন কোনওভাবে মেনে নিতে পারছেন না ৬৩টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা এই পিচ কিউরেটর। কিছুটা রাগ, কিছুটা উর্দ্ধতন কত্তৃপক্ষের কাছে দায়বদ্ধতার অসহায়তা। এভাবেই আক্ষেপের সুরে সালগাওকার বলেন, ‘সত্যিই এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক এধনের একতরফা পিচে খেলতে নামা। আমাদের হাতে সময় কম ছিল।আবার বোর্ডের নির্দেশও পালন করতে হবে। কিন্তু তখন আমি কী করব?আমি শুধু আমার কাজটা করেছি।’ পাশাপাশি বিসিসিআই পিচ কমিটির আধিকারিকদের একহাত নিয়ে সালগাওকার বলেন, ‘আমার কাজ হল শুধু উর্দ্ধতন কত্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করা।’ এই উক্তির মাধ্যমে তিনি কার্যত কাঠগড়ায় তুললেন বিসিসিআই পিচ কমিটির সুপ্রীমো দলজিৎ সিং ও পূর্বাঞ্চলের প্রধাণ ধীরাজ প্রশন্নকে। ভারতীয় দলের কেউ এমন পিচ বানানোর নির্দেশ দিয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করলে সালগাওকার বলেন, ‘ আমার কোনও ধারণা নেই কে এমন পিচ করতে বলেছিল। তবে ভারতীয় দলের তরফ থেকে কেউ কোনও নির্দেশ দেয়নি এব্যাপারে।’